Next
« Prev Post
« Prev Post
First
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫
মাযহাব সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
আমাদের দেশের
সংখাগরিষ্ঠ মুসলিমদের বাস্তব সালাত এবং রাসূলের (সঃ)সালাতের
তরীকার মধ্যে সচরাচর অনেক পার্থক্য দেখা যায়।
অথচ সহীহ
হাদীস অনুযায়ী রাসূলের (সঃ) সালাতের একটি
মাত্র নিয়ম ছিল।তবে কোন কোন সময় কোন কোন বিষয়ে কিছুটা পার্থক্য দেখা দিত। যেমন তিনি কখন সালাতকে লম্বা করতেন আবার কখনো সংক্ষিপ্ত করতেন,এমনি ভাবে
সিনার উপর হাত রাখার পর কখনো ডান হাতকে বাম বাহুর উপরে রাখতেন, আবার কখনো কব্জির উপরে রাখতেন,আবার কখনো
হাতের উপর হাত রাখতেন। এমনি ভাবে কখনো রাফ’উল
ইয়াদাইন করতেন কখনো কাঁদ পর্যন্ত আবার কখনো কান পর্যন্ত হাত উঠাতেন। মোট কথা এই পার্থক্যগুলো ছিল শুধু বাহ্যিক কার্যভঙ্গি এবং লম্বা ও সংক্ষিপ্ত করার
ব্যপারে, কিন্তু কাজটি করার ব্যপারে কোন পার্থক্য ছিল না। এই পার্থক্যের মুল কারন গুলো হল রাসূল (সঃ) এর সালাত
আদায় পদ্ধতি সম্বন্ধে অজ্ঞতা, মাযহাবগত ভ্রান্ত ধারনা ও সংকীর্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
রাসূল(সঃ) বলেছেন, ‘‘বনী ইসরাঈল বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল, আর আমার উম্মত তিহাত্তর দলে বিভক্ত হবে”। সাহাবারা জিজ্ঞাসা করলেন ‘‘হে আল্লাহ্র রাসূল (সঃ), সে দল
কারা?” উত্তরে রাসূল (সঃ)বললেন, আমি এবং আমার সাহাবাগন যে তরীকার উপর চলছে, যে দল সেই তরীকা মত চলবে, সেই দলই বেহেশতী।” (তিরমিজী)
রাসূল (সঃ) এর পরে খোলাফায়ে রাশেদীন এই কোরআন ও সুন্নাহর জীবন
ব্যবস্থার উপর কায়েম ছিলেন, এক চুল পরিমানও ব্যতিক্রম ঘটতে দেননি। পরবর্তীকালে অন্যান্য সাহাবা ও তাবেয়ীগনও কোরআন
ও সুন্নাহর মধ্যে
কিছুমাত্র রদবদল হতে দেননি। বরং রাসূল(সঃ)
এর কোন হাদীস তাদের সম্মুখে উপস্থিত হলে বিনা শর্তে তা মেনে নিতেন। সাহাবা কেরাম ও তাবেয়ীগনের পরবর্তী
যুগে যেমন নানা দেশের, নানা বর্নের, নানা ধর্মের লোক ইসলামের পতাকা তলে আসতে লাগল,তেমনি তাদের
সাথে সাথে নানা ধর্মমত ও দার্শনিক মতবাদও
আসা শুরু হল। ফলে , মুসলিমগন নীতিগত ভাবে এক আল্লাহকে সার্বভৌম শক্তির অধিকারী ও তার রাসূল(সঃ)কে
একমাত্র নেতা বলে স্বীকার করলেও কার্যতঃ তারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে ইসলামের প্রকৃত নীতি হতে সরে যেতে লাগল এবং কোন কোন সম্প্রদায় একেবারে ইসলামের গন্ডীর বাইরে চলে গেল। ফলে, মুসলিম জাতীয়
জীবনে ভাঙ্গন শুরু হল। তারা রাসূল(সঃ)
এর নেতৃত্ব ত্যাগ করে বিভিন্ন নেতার অধীনে ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ল। এভাবে ইসলামে শুরু হলো ফিরকাবন্দী। অখন্ড ইসলাম হয়ে গেল খন্ড-বিখন্ড।
হযরত আব্দুল
কাদের জিলানী(রহঃ)
তার ‘‘৭৩ফিরকার বিবরন” গ্রন্হে সমগ্র মুসলিমগন কে ১০ভাগে বিভক্ত করেছেন, যথা (১)আহলে সুন্নাত, (২)খারিজী, (৩)শিয়া্, (৪)মুতাজিলা, (৫)মুরজিয়া, (৬)মুশাব্বিয়া, (৭)জাহমিয়া, (৮)জরাহিয়াহ, (৯)নাজ্জারিয়া
এবং (১০)কালাবিয়াহ।
উপরোক্ত দলগুলোর
মধ্যে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য দল হলো আহলে সুন্নাত কারন একমাত্র এরাই কোরআন ও সুন্নাহ অবলম্বন
ও অনুসরণ করে
থাকেন এবং প্রমানস্থলে উভয়কেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন।
অন্য ৯টি
দল হতে বাহাত্তরটি উপদল বা ফিরকার সৃষ্টি হয়েছে। এ দল গুলো
সাহাবাদের বহু জামানা পর সৃষ্টি হলেও কোন কোন সাহাবাদের জীবদ্দশায় দু-একটি
বিদ’আতের
সূত্রপাত হয়েছিল। সাহাবাগন ও সূত্রপাতের সাথে
সাথে ঘোর প্রতিবাদ করেছেন। একদিন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রাঃ)
শুনলেন যে কিছু লোক মসজিদে সমবেত হয়ে হালকাবদ্ধভাবে বসে (অর্থাৎ
কয়েকজন গোল হয়ে
বসে) লাইলাহা ইল্লাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ ও দরূদ প্রভৃতি
পাঠ করছে। এই খবর পাওয়া মাত্র তিনি মসজিদে এসে সমবেত লোকদের
বললেন ‘‘হে
লোক সকল, রাসূল(সঃ)এর ইন্তেকালের পর এখনও খুব বেশি দিন অতীত হয়নি, তার পরিধেয় বস্ত্র এখনও বিদ্যমান রয়েছে, আর তোমরা এখনই তাঁর শরীয়তকে পরিবর্তন করতে আরম্ভ করে দিয়েছ? দেখ আমি রাসূল (সঃ)এর
যামানায় এভাবে কালেমা ও দরূদ পাঠ
করতে দেখিনি।” এভাবে সতর্কবানী করতে করতে তাদের কে মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দিলেন।
ফিরকা উদ্ভবের
কারন ও পরিনতি কোরআন
ও হাদীছের ব্যবহারিক
পতনের পটভূমিকায় পৃথিবীতে ফিরকাবন্দী বা দলীয় মাযহাব সমূহের আত্মপ্রকাশ শুরু হয়। বনী উমাইয়া শাসনের অবসানকালে অর্থাৎ নূন্যাধিক ১৫০হিজরী
পর্যন্ত কোন ব্যক্তি নিজেকে হানাফী, শাফেয়ী ইত্যাদি বলতেন না বরং স্ব-স্ব
গুরুগনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কোরআন ও হাদীছের ব্যাখ্যা
করতেন।
আব্বাসীয়দের শাসনকালে
সর্বপ্রথম প্রত্যেকেই নিজের জন্য পৃথক পৃথক দলীয় নাম নির্ধারীত করে নিতেন এবং নিজ গুরুদের নির্দেশ খুজে বের না করা পর্যন্ত কোরআন ও হাদীছের ব্যবস্থা
মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানাতেন। সুতরাং মতভেদ দৃঢ়তর হল, মাযহাবের সূত্রপাত
হল।
মুসলিম জাতীয়
জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় ও সংকটের মুল
কারন ছিল মুসলমানদের গৃহ বিবাদ। আর গৃহ বিবাদের প্রধান কারন ছিল মাযহাব কোন্দল এবং তাকলীদ পরস্তদের গোড়ামী ও বিদ্বেষ।
দুঃখের বিষয়
এত বড় আঘাতের পরও মুসলমানগন সমবেত ভাবে চৈতন্য লাভ করতে পারে নাই। তারা প্রতিকারের জন্য কোরআন ও সুন্নাহর দিকে
ফিরে আসতে প্রস্তুত হচ্ছে না।
মুসলমানদের মধ্যে
মাযহাব নিয়ে আত্মকলহ মারাত্মক আকার ধারন করলে বিবরূহ বাদশার আমলে মিশরে চারটি মাযহাব সরকারী স্বীকৃতি লাভ করে এবং চার মাযহাবের জন্য চার জন সরকারী কাজীও নিযুক্ত করা হয়। ৬৬৫হিজরীতে সরকারী ভাবে চার মাযহাব স্বীকৃতি লাভ করায় ইসলামী দুনিয়া হতে অন্য মাযহাব গুলো লোপপেতে থাকে। চরম পরিনতি স্বরূপ ৮০১ হিজরীতে সুলতান ফরহবিন বরকুক সরকেশী পবিত্র কাবা ঘরের চার পাশে চার মাযহাবের জন্য চারটি ভিন্ন ভিন্ন মুসল্লা নির্দিষ্ট করে দেন। তখন থেকে এক আল্লাহ্র দিন এবং মুসলিম জাতীর প্রতিষ্ঠাকেন্দ্র চার ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ল। অর্থাৎ সত্য ধর্মকে
চারটি মাযহাবে বিবক্ত করে নবীর দ্বীনে বিপর্যয় ঘটানো হলো। এ ঘটনার সাড়ে
পাঁচশত বছর পর সৌদী আরবের বাদশাহ আব্দুল আযীয আল সউদের রাজত্বকালে ১৩৪৩ হিজরীতে কাবার হেরেম হতে এ জঘন্য বিদ’আত উৎপাটিত
হলেও পৃথিবীর প্রায় সব মুসলিম প্রধান দেশে এই মাযহাব বিভক্তি এখন প্রকটভাবে বিদ্যমান।
ভারত উপমহাদেশের
মুসলমানদের মধ্যে এই মাযহাব বিভক্তি প্রকট ভাবে বিদ্যমান। বিভিন্ন যুগে মধ্য এশিয়া হতে সামরিক শক্তি দ্বারা এই উপমহাদেশ আক্রন্ত হয়েছে, তাদেরে দ্বারা বহু বছর এই দেশ শাসিত হয়েছে। পরবর্তী দুইশত বছর ইংরাজরা শাসন করেছে। এসময় তারা সুকৌশলে অসংখ্য জাল হাদিছের সংমিশ্রনে মাদ্রাসা বোর্ডের পাঠ্যক্রম প্রনয়ন করে এবং বহু পীর, ফকির,
আউলিয়া, দরবেশ এদেশে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে এসেছেন। ফলে এদেশের আদি ধর্মানুরাগীগন যারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল তারা তাদের পুরাতন ধর্ম বিশ্বাস, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, দার্শনিক মতবাদ ইত্যাদি বিজাতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ইসলামী আকীদাহ-র সংমিশ্রনে
কোরআন ও হাদীছের সঙ্গে
সরাসরি সম্পর্ক হারিয়ে ফেলে বিভিন্ন নেতা ও পীরের অধীনে
পৃথক মাযহাব-এ বিভক্ত
হয়ে পরে।
বাংলাদেশ একটি
মুসলিম প্রধান দেশ, এখানকার জনগোষ্ঠির
প্রায় ৮৬% মুসলমান। এদেশের সংখাগরিষ্ঠ মুসলমান ধর্মভীরু সুন্নী, কিন্তু সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা-দীক্ষার অভাবে
তারা প্রায়শঃই বিভিন্ন ধরনের শিরক, বিদা’আতকে ইসলামী
শরিয়াহ-র অংশ
হিসাবে গন্য করে আসছে।এরা মাযহাব সম্বন্ধে খুবই সচেতন, এক মাযহাব অনুসারী অন্য মাযহাবীকে তাচ্ছিল্য ভাবে দেখে। এদের বেশির ভাগের ধারনা চারজন ইমামের অনুসরনীয় মাযহাব স্বীকার করা ফরজ, শরিয়তের উপর
আমল করতে চার ইমামের একজনের পয়রাবী করা ওয়াজিব, বিপরীত করলে অর্থাৎ
যেকোন একটি মাযহাব না মানলে শরীয়ত হতে খারিজ হতে হবে। এক মাযহাব থেকে অন্য মাযহাবের কোন অংশ অনুসরন করা যাবে না, চারজনের মধ্যে
আজীবন শুধুমাত্র একজনের অন্ধ অনুসরন করতে হবে ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন অপসংস্কৃতির সংমিশ্রনে এদেশে যে সব আচার-আচরন,
ধর্মীয় বিশ্বাস গড়ে উঠেছে সেগুলো বেশির ভাগই ভ্রান্ত এবং কুরআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত
সঠিক আচার-আচারণ নয়। একারনেই
বর্তমানে আমাদের দেশের সংখাগরিষ্ঠ মুসলমানদের আদায়কৃত সালাত এবং রাসূল (সঃ)-এর আদায়কৃত
সালাতের তরীকার মধ্যে সচরাচর ভিন্নতা দৃশ্যমান হয়।
মাযহাবের সঠিক
অর্থ চলার পথ, কিন্তু মাযহাব
অনুসারীগন এর অর্থ করেন মত ও পথ। এই অর্থে
দুনিয়ার যত মত ও পথ আছে
সবই মাযহাব। ইমাম আবু হানিফার মত ও পথ হানাফী
মাযহাব। অনুরূপ ইমাম মালেকের মত ও পথ মালেকী
মাযহাব, ইমাম শাফেয়ী র মদ ও
পথ শাফেয়ী মাযহাব ও ইমাম আহমেদ
বিন হাম্বলের মত ও পথ হাম্বলী
মাযহাব। তা হলে নবী মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মত ও পথ নিঃসন্দেহে
মুহাম্মদী মাযহাব। আর সকলের মত ও পথের চেয়ে
মুহাম্মদের(সঃ) মত ও
পথ যে অতি উত্তম ও উৎকৃষ্ট এ কথা কোন
মুসলমানকে বলে দিতে হবে না। কাজেব অন্য সকল মত ও পথ বর্জন
করে মহানবীর পবিত্র মত ও পথেই আমাদের
চলতে হবে।
যে সকল
ইমামের নামে মাযহাবের নাম করন করা হয়েছে তাদের জন্মের আগে মাযহাব ছিল না, তাদের যামানায়
মাযহাবের উদ্ভব হয় নাই। মাযহাব হয়েছে তাদের মৃত্যুর অনেক দিন পরে। ইমাম আবু হানিফার জন্ম ৮০হিজরীতে, মৃত্যু ১৫০হিজরীতে; ইমাম মালেকের জন্ম ৯০হিজরীতে, মৃত্যু ১৭৯হিজরীতে; ইমাম শাফেয়ীর জন্ম ১৫০হিজরীতে, মৃত্যু ২০৪হিজরীতে; আর ইমাম আদমেদ বিন হাম্বলের জন্ম ১৬৪হিজরীতে, মৃত্যু ২৪১হিজরীতে। যেদিন ইমাম আবু হানিফরি মৃত্যু হল সেই দিন ইমাম শাফেয়ীর জন্ম হয়েছে। এই দুজনের পরস্পরের সাথে দেখা সাক্ষাত হয় নাই। আর মাযহাবের উদ্ভব হয়েছে ৪০০হিজরীতে। ইমাম আবু হানিফার মৃত্যুর ২৫০ বছর পরে। এই চার ইমামের জন্মের পূর্বেও ইসলাম ছিল, মুসলিম ছিল। তখন
যদি কারো মত ও পথের প্রয়োজন
না হয়ে থাকে তাহলে ৪০০বছর পরে প্রয়োজন হবার বা ফরজ হওয়ার কোন যুক্তি থাকে না। তখনও মুসলমানদের কাছে কোরআন ও হাদিছ ছিল, এখনও আছে, কাজেই কোরআন
ও হাদিছই যথেষ্ট। সুতরাং
নির্ভুল কোরআন ও হাদিসই মুসলমানদের
মেনে চলতে হবে। চার মাযহাবের কোন একটি মেনে চলার জন্য আল্লাহ্ ও আল্লাহর বাসূল(সঃ) নির্দেষ দেননি। আমাদের
সমাজে প্রচার রয়েছে যে চার মাযহাব চার ফরয। চার মাযহাব ফরয করতে কোন নবীর আগমন ঘটেনি। যাদের নামে মাযহাব করা হয়েছে তারা কোন নবী ছিলেন না এবং তারা মাযহাব তৈরির ব্যপারে কোন নির্দেশও দেননি। তবুও তাদের মৃত্যুর পরে তাদের নামেই মাযহাব তৈরি করা হয়েছে। ইমামদের সময়ে এবং তাদের পূর্বে একটিই মাযহাব ছিল। তারা ঐ একটি মাযহাবকেই
মানতেন এবং অন্যকে মানতে বলতেন।ঐ একটি মাযহাব
ফরয, যা নবী
মুহাম্মদ(সঃ)এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে।
আল্লাহর রাসূলের(সঃ) মৃত্যুর পর
চারশত বছর পর্যন্ত রাসূল(সঃ)
এর মাযহাব ছাড়া অন্য কোন মাযহাবের অস্তিত্ব ছিল না। অতএব, তাঁর নির্দেশানুসারে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর সুন্নাতকে
মজবুত করে ধরে থাকাই গুমরাহী হতে বাঁচার একমাত্র উপায়।
মাযহাবের ভয়াবহতা
সম্বন্ধে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা এই একবিংশতিতম শতাব্দীর প্রারম্ভে বর্তমান দুনিয়ার প্রায় ১৪০কোটি মুসলমানই সর্বত্র কম-বেশি
নিগৃহীত হচ্ছে এজন্য যে, মুসলমানেরা বিভিন্ন
মাযহাব, ফিরকাহ ও ঘরনায় বিভক্ত
এবং সাধারন শত্রুর বদলে পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বেই অধিকতর লিপ্ত। এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে মাযহাব, ফিরকাহ, ঘরানা নির্বিশেষে গোটা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এখনই গড়ে না তুললে সামাজ্যবাদী-ইহুদীবাদী ও উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের
সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামরিক আগ্রাসন
থেকে আত্মরক্ষা করা কোন ক্রমেই সম্ভবপর হবে না।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
ConversionConversion EmoticonEmoticon